রাশিয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছে

0
0000

0000

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে রাশিয়া কার্যকর ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেন, ১৩৭তম আইপিইউ সম্মেলনে রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার ইলিয়াস উমা খান এ বিষয়ে বলেন, মানবিক এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৭তম এসেম্বলিতে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ এবং অর্জন বিষয়ে রবিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, সম্মেলনে রাশিয়ার সংসদীয় দলের নেত্বত্বে ছিলেন ইলিয়াস উমা খান। অন্যদিকে বাংলাদেশের সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেন তিনি নিজে। বাংলাদেশ থেকে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অংশ নেন তিনি।

তিনি বলেন, এ সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি হচ্ছে এই প্রথম বাংলাদেশের কোন প্রস্তাব আইপিইউ এসেম্বলির সাধারণ আলোচনায় ইমারজেন্সি আইটেম হিসেবে গৃহীত হয়। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্থাপিত ৫ দফা প্রস্তাবনার ভিত্তিতে আমাদের প্রস্তাব ছিল। দলনেতা হিসেবে বিষয়টি সাধারণ আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব উত্থাপন করলে ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সে প্রস্তাব গৃহীত হয়।

এসময় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং ভূয়াসিী প্রশংসা করেন।
সাধারণ আলোচনায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জোরালোভাবে তুলে ধরছে। এ সমস্যা মোকাবেলায় মিয়ানমারকে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করতে আইপিইউভুক্ত দেশগুলোকে আহবান জানানো হয়েছে।

ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আইপিইউ এসেম্বলির সাধারণ সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে গৃহীত হয়। ইমারজেন্সী আইটেম হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রোহিঙ্গা ইস্যুটি ভোটাভুটিতে ১০২৭ ভোট পেয়ে গৃহীত হয়। এর বিপরীতে মিয়ানমার প্রস্তাবের পক্ষে পায় মাত্র ৪৭ ভোট।

তিনি বলেন, আইপিইউ সাধারণ সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি গৃহীত হওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহল খুবই গুরুত্বের সাথে এখন বিবেচনা করছেন। জাতিসংঘের চেয়ে বয়সে পুরনো, সারা বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৬৫০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল সর্ববৃহৎ সংসদীয় ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুটি গৃহীত হওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমতের প্রতিফলন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *