ঢাকায় জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তা

0
w

w

ঢাকায় অবস্থানরত জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তাদের চলাচলকে সীমিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা ঢাকার গুলশান-১ এবং গুলশান-২ এলাকায় দুটি রেস্তরাঁয় যেতে পারবেন। এর বাইরে রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। জাতিসংঘের ঢাকা অফিসের জন্য এসব পদক্ষেপ অনুমোদন করেছে সংস্থাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা টিম (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট টিম-এসএমটি)। এতে ঢাকার যে দুটি হোটেলকে (এডিশনালী) জাতিসংঘ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা হলো দ্য বেঙ্গল ব্লুবেরি গুলশান-২ এবং ন্যাসসেন্ট গার্ডেনিয়া সুটস গুলশান-২।

এরইমধ্যে ঢাকায় জাতিসংঘ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত ওই নিরাপত্তা কড়াকড়ির বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ইস্যু করা নিরাপত্তা বার্তায় স্পষ্ট করে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, গুলশান-১ ও ২ অঞ্চলে কূটনৈতিক এলাকায় যেসব রেস্তরাঁ জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেখানে সব জায়গায় উত্তম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়টি সব সময় মাথায় রাখতে হবে। রেস্তরাঁগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রহরী, বিভিন্ন জিনিসের বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ব্যাগ স্ক্যানিং, মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবহার, শক্তিশালী দরজা ও জরুরি বহির্গমনের পথের বিষয়টি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। হোটেলে যেখানেই কর্মকর্তা-কর্মচারী বা যাদের পরিবারের সদস্যরা বসেন না কেন, তাদের গাড়ি পার্কিং করতে হবে যতটা সম্ভব কাছে। রেস্তরাঁ থেকে পার্কিংয়ের দূরত্ব হতে হবে সর্বনিম্ন। উত্তম নিরাপত্তার জন্য সেখানে সশস্ত্র পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে নিরাপত্তা সতর্ক বার্তায় জনবহুল স্থানে নৈশভোজে অংশ না নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়, পূর্ব ঘোষিত সময় ও তারিখে নিয়মিত কোনো স্থানে জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে। কোনো জমায়েতেই বেশি রাত পর্যন্ত থাকা যাবে না। রাত ১০টার মধ্যেই ঘরে ফিরতে হবে। যাতে অপরাধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সার্বিকভাবে নজরদারি ও সচেতনতা অবলম্বন করতেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা বার্তায়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *