আজ বিটিভিতে প্রচার হবে মুজিব বর্ষের ১ম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “আমার বাবার নাম”

শেখ সাজ্জাদ সদয়:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “আমার বাবার নাম”।
এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত হল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র । আজ ১৬ ডিসেম্বার রাত ৯ টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “আমার বাবার নাম”।
এর কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রপ্ত কাহিনীকার ও বিটিভির মহাপরিচালক হারুন রশীদ (এস এম হারুন-অর-রশিদ)। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রপ্ত পরিচালক (প্রামাণ্য) ও বিটিভির নির্বাহী প্রযোজক ফজলে আজিম জুয়েল। চিত্রগ্রহন,সম্পাদনা, বড়ুয়া সুরজীত শিমন। আবহসঙ্গীত নীল কামরুল। শিল্প নির্দেশনা মোহাম্মদ সেলিম।
চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন -আবুল হায়াত, দিলারা জামান, সমু চৌধুরী, নাইরুজ শিফাত, জয়রাজ, সাইফুল জার্নাল, শেখ বোরহান বাবু, শ্যামল জাকারিয়া প্রমুখ। উক্ত চলচ্চিত্রে বাউল চরিত্রের জন্য একটি মাত্র গান রয়েছে যেটি প্লেব্যাক করেছেন শেখ বোরহান বাবু।
মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়েই এর গল্প তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুসহ আরও অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন। নেতা আসবেন, নির্দেশ দেবেন কী করতে হবে এখন। প্রিয় নেতার মঙ্গল কামনায় রোজা রাখেন গ্রামের এক বৃদ্ধা। সবাই অপেক্ষায় আছেন বঙ্গবন্ধু ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন জীবন গড়ার নির্দেশনা দেবেন। অবশেষে তিনি এলেন। শামসু কমান্ডার সদলবলে অস্ত্র জমা দিলেন। বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হল স্বাধীনতার শত্রু, ধর্ষক, লুণ্ঠন ও হত্যাকারীদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিশালায় নির্যাতিত অলোকা খুঁজে পায় তার নতুন জীবন।
এক ঘণ্টা দৈর্ঘ্যরে এ চলচ্চিত্রটি ঢাকা এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচর সহ বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করা হয়েছে।