আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীর প্রতি বৈষম্যকর সংকুচিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের আহবান জয় বাংলা মঞ্চের
বিশেষ প্রতিনিধি: বিবৃতিতে জয় বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন,নারী-পুরুষের সমতায় গড়ে উঠুক দরিদ্র্যমুক্ত উন্নয়নশীল বিশ্ব।নারীরা বিশ্বব্যাপী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মময় শ্রমসহ সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষায় শোষণ,বর্ণ বৈষম্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার সংগ্রাম করেই চলছে।নারীদের আন্দোলনের রয়েছে ঐতিহ্যবাহী অনন্য গৌরবময় ইতিহাস।
৮ মার্চ ১৯৫৭ সালে আমেরিকায় নিউইয়র্ক একটি সুতা কারখানায় নারী শ্রমিকগণ মানবেতর জীবন ও ১২ ঘন্টা কর্ম দিবসের বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন শুরু করে।এছাড়াও ১৮৬০ সালে ৮ মার্চ ঐ কারখানায় নারী শ্রমিকগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহিলা শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করে এবং সাংগঠনিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যায়।১৯০৮ নারী অধিকার নিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে মিছিল করে।১৯১০সালে ৮ মার্চ কোপেনহেগেন শহরে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে জার্মানির নারীনেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক ঘোষণার তীব্র দাবি তুলেন।নীরী আন্দোলনের তীব্রতায় ১৯৮৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ নারী দিবস স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশেও ১৯৯১সালের ৮ মার্চ হতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের যাত্রা শুরু করে।উল্লেখ্য বাংলাদেশের সচেতন নারীরা সূচনালগ্ন থেকেই নারী দিবস পালন করে আসছে।এখানে নারীনেত্রী বেগম রোকিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়।নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে নিদিষ্টছিল অগ্রগতির মূল ধারায় নারী-পুরুষের সমতা।যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্ষমতায়ন,মজুরী বৈষম্য দূরীকরণ,কর্মঘন্টা নির্ধারণ এবং কাজের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সহ ইত্যাদি।
তবে স্বীকার করতেই হয়,এখনো পর্যন্ত নারীরা তাদের শ্রমের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছেনা।রাজনৈতিক প্রতিহিংসা,ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর অজ্ঞ থাবা ও পেশীশক্তির নগ্ন প্রভাব নারীদের অর্জিত অধিকার গুলো চরমভাবে বিনষ্ট হচ্ছে।নারী নির্যাতন,যৌন হয়রানি,ধর্ষণ ও খুন ক্রমশ নৈমিত্তিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।উন্নয়নশীল বৈষম্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে হলে এ অবস্থা থেকে দ্রুত নারী সমাজকে উত্তরণ ঘটাতেই হবে বলে সংগঠনটির সভাপতি বিবৃতিতে বলেন।
নারী অধিকার ও ক্ষমতায়ন লিঙ্গ কিংবা কোটা বিবেচনায় নয়।সমতার ভিত্তিতে যৌগ্যতার নিমিত্তে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার নীতিমালার সুনিশ্চিত করতে হবে।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা নারীদের ক্ষমতায়নে নারী নীতিমালা প্রণয়ন করে নারীদেরকে প্রশাসন সহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে সমতার হারে চাকুরী সুনিশ্চিত করেছেন।এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী।পাশাপাশি ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষিত বেইজিং কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্যও বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধান সহ বিশ্ববিবেকের কাছে বিবৃতিতে জোর দাবি জানানো হয়।