ইতিহাস গড়ে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন

সারা ঢাকা শহর সহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একই আলাপ আজকের খেলায় কে জিতবে । ভারত না পাকিস্থান! বিশাল রানের টাগেট দিয়ে ভারতে নাজেহাল করেছে পাক খেলোয়ারা। উইকেট একটার পর একটা উইকেট শেষ করে ভারতে দমিয়ে দিয়ে পাক খেলোয়ারা।
রাজধানী জুড়ে চায়ের দোকান থেকে বাসা বাড়ীতে একই আলোচনা ভারতে শিক্ষা দেওয়া । কিন্তু এটা কি ভেবে দেখেছে পাকিস্থানীরা জিতা মানে বাংলাদেশ রেংকিংকের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া। যা আমাদের সোনার ছেলেরা খুব কষ্ট করে অজন করেছিল।
সরজমিন পরিদশনে দেখা যায় সবাই চায় পাকিস্থান জিতুক। আমি কয়েকজন ক্রিকেট প্রেমীকে বললাম বাংলাদেশ তো রেংকিংকের দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। তারা আমাকে বলে এটা কোন ব্যাপার না। আসলে কি তাদের ভিতরে এখন পাকিস্থানী মনোভাব রয়ে গিয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশকে ডুবিয়ে পাকিস্থানকে জিততে চায়। এটা কোন কারণ হতে পারে না।
ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের দেয়া ৩৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন হৃদিক পাণ্ডে। তিনি ৪৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রানআউটের শিকার হন।
পাকিস্তানের দেয়া ৩৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে চাপের মুখে পড়ে কোহলিরা। মাত্র ৩৩ রানে প্রথম তিন উইকেট পতন হয়।একে একে প্যাভিলিয়নের
আমির এ পর্যন্ত ৬ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেটই নিজের ঝুলিতে নিয়ে ভারতকে চাপের মুখে ফেলে দেন। এর মধ্যে দুটি মেডেন ওভারও রয়েছে। এছাড়াও শাদাব খান ২টি গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট শিকার করলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। এছাড়াও হাসান আলী ও জুনায়েদ খান পেয়েছেন একটি উইকেট।
রোববার ওভালে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আলোচিত দ্বৈরথে টসে জয়লাভ করেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।
ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে সরফরাজ বাহিনী।
ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আজহার আলী ও ফখর জামান। ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৮ রান। এরপর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার আলী। তবে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফকর জামান।
সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি। তিনি ১১৪ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন। ৩টি ছয় ও ১২টি চারের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এরপর দ্রুতই ফিরে যান শোয়েব মালিক। তিনি ১২ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বেল সাজঘরে ফেরেন।
বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখালেও ৪৬ রান করে কেদার যাদবের বলে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম। শেষদিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি ৩৭ বলে ৩ ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম খেলেন হার না মানা ২৫ রানের ইনিংস।
৩৩৯ রানের বিশাল পাহাড় ডিঙাতে খেলতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। লেগ বিফোরের শিকার হন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেন আমির। তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কোহলি। তবে তা ধরতে ব্যর্থ হন আজহার। পরের বলেই পয়েন্টে ক্যাচ দেন কোহলি। তবে এবার আর ভুুল করেননি শাদাব খান। দলীয় ৬রানে ফিরে যান কোহলি (৫)।
নবম ওভারে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় টুনার্মেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার শেখর ধাওয়ান (২১) সাজঘরে ফিরেন।