এবারের বাজেটে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সব পরিকল্পনা থাকছে

0
image-292886-1585155738

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দুর্যোগের মধ্যেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার টাকার আগামী বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জরুরি, স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি সব ধরনের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। বাজেটে কী বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বুধবার (১০ জুন) রাতে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেট করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কাজ করবে। এ বছর সংসদে এক কঠিন সময়ে আমরা বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। তাই আগামী বাজেটের মূল উদ্দেশ্যেই হচ্ছে- দেশের মানুষের জীবন রক্ষা এবং সচল রাখা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটে জরুরি, স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি সব ধরনের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যাতে করে করোনায় যা ক্ষতি হয়েছে তা কমানো যায়।’ আসন্ন বাজেট দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি। আমাদের ধৈর্য এবং সাহস রাখতে হবে। এ জাতি অনেক সময় অনেক বিপর্যয় এবং দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে দিন পার করেছে। কিন্তু সবসময় এ দেশের মানুষ সেসব বিপর্যায় মোকাবিলা করেছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের মতো আমাদেরও অর্থনীতিতে বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। কিন্তু এখানে থেমে গেলে চলবে না। এখন সামনে এগোতে হবে। সে অনুযায়ী বাজেটে প্রণোদনাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ থাকবে।’

এদিকে বুধবার (১০ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের বাজেটটি গতানুগতিক ধারার কোনো বাজেট নয়। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *