কারা হেফাজতে সিলেটে হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

দিনবদল ডেক্স:সিলেটের বিশ্বনাথের ধিতপুর গ্রামে চাচাতো ভাই ওয়ারিছ আলীকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে গ্রেফতার রমজান আলী (৬২) কারা হেফাজতে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় ছুরিকাঘাতে আহত ওয়ারিছ আলী ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর ওই ছুরিকাঘাতের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে রমজান আলীকে (৬২) শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রমজান আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতকে জানান, চাচাতো ভাই ওয়ারিছ আলীকে তিনি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত তাকে জেলহাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাত পৌনে ৮টায় তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কারাগারে যাওয়ার পরপরই রমজান আলী অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিনই রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান আলী মারা যান।
চাচাতো ভাই ওয়ারিছ আলী মারা যাওয়ার ১২ ঘণ্টার মাথায় রমজান আলী স্ট্রোক করে মারা গেছেন জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার আসামি রমজান আলীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে রমজান অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কারা হেফাজতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, গত ৮ মে চাচাতো ভাই ওয়ারিছ আলীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন রমজান আলী। এ ঘটনায় গত ১১ মে থানায় মামলা হয়। মামলা দায়েরের পর ওইদিন রাতেই রমজান আলীকে গ্রেফতার করা হয়। রমজান আলী পুলিশ ও আদালতের কাছে ওয়ারিছ আলীকে ছুরিকাঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. ছগির মিয়া জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে আসার পর রমজান আলী রক্তবমি করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এর কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।