গবেষনায় ১১ জনের মৃত্যু

0
4

দিনবদল ডেস্কঃ-নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন নিয়ে গবেষণায় ১১ জন রোগী মারা গেছেন। এতে ওই গবেষণায় স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের খবর।

করোনা রোগীদের ওষুধ হিসেবে সাড়া ফেলেছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ অনেক দেশ ব্যাপকভাবে এই ওষুধ প্রস্তুত ও সংগ্রহ করছে।

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কাছাকাছি ওষুধ ক্লোরোকুইন। ব্রাজিল সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশিকাতেও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ওষুধটি করোনা মোকাবিলায় সহায়ক কী না, এ নিয়ে ব্রাজিলের আমাজোনাস প্রদেশ কর্তৃপক্ষ একটি গবেষণা শুরু করে।

এতে মানাস শহরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮১ জন রোগীর ওপরে এই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা হয়।

৫ দিনের সেই পরীক্ষায় ৪১ জনকে উচ্চমাত্রায় ক্লোরোকুইন দেয়া হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়।

শনিবার স্বাস্থ্য গবেষণা বিষয়ক একটি অনলাইন সার্ভারে এই ঘটনা প্রকাশ পায়।

জানা যায়, ৫ দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী রোগীদের দিনে দুইবার করে ৪৫০ মিলিগ্রাম ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা হয়। তবে এর মধ্যে ৪১ জনকে ১০ দিনের জন্য উচ্চমাত্রায় ওষুধটি দেয়া হয়, দিনে দুইবার করে ৬০০ মিলিগ্রাম। কিন্তু তিন দিনের মধ্যে তাদের হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যক্রম অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। ছয় দিনের মাথায় তাদের ১১ জন মারা যান।

গবেষকদের মতে, ক্লোরোকুইন করোনা সারাতে কার্যকর কী না সেটি এখনো পর্যাপ্ত রোগীর ওপর পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, বিশেষ করে গুরুতর রোগ থাকা করোনা আক্রান্তদের ওপর। ফলে ওষুধটি ব্যবহারের আগে এ নিয়ে আরও বেশি মূল্যায়ন প্রয়োজন।

জানা যায়, করোনা রোগীদের ওপর স্বল্প মাত্রায় ক্লোরোকুইন এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের বেশ কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। চীনের গুয়াংডং প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করে যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ১০ দিনের জন্য প্রতিদিন দুইবার ৫০০ মিলিগ্রাম এই ওষুধ খেতে পারে।

তবে ব্রাজিলের ঘটনা নিয়ে একটি গবেষণার লেখক ডা. মার্কাস লেসার্ডা জানান, চীনারা যে উচ্চমাত্রা ব্যবহার করেছিল তা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং আরও বেশি রোগীকে মেরে ফেলে। এই জন্য ব্রাজিলের এই গবেষণা স্থগিত রাখা হয়েছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *