জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ১০ কর্মকর্তা দুদকের নজরদারিতে

0
workers-file

workers-file

বিভিন্ন ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, সংস্কার, দরপত্র মূল্যায়ন, কার্যাদেশ প্রদান, বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব অশোক কুমার বিশ্বাসসহ ১০ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অন্য ৯ কর্মকর্তা হচ্ছেন পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নারায়ণচন্দ্র দেবনাথ, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুকুমার সাহা, প্রকল্প প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাজিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন, জিয়াউল হাসান, পরিচালক আবদুর রহিম ভূঁইয়া ও প্রকল্প প্রকৌশলী মো. শাহীন।

কিছুদিন আগে এ ১০ কর্মকর্তার যাবতীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। দুদকের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে না পেরে সময় বাড়িয়ে নিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, দুদকের চাহিদা মতো তথ্যাদি তারা মঙ্গলবার জমা দিয়েছেন।

তবে তাদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানের এই প্রধান নির্বাহী। ‘একটা অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানের জন্য আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিল। আমরা সেটা দিয়েছি। তবে কে বা কারা অভিযোগ করেছে তা আমাদের জানা নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে এ পর্যন্ত ১৫৪টি স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। সবগুলোই সরকারি নিয়মনীতি মেনে করা হয়েছে। সব কাজই হয়ে থাকে যথাযথ প্রক্রিয়া ও টেন্ডারের মাধ্যমে। এ অভিযোগ সত্যি নয়। আসলে যারা কাজ পান না তাদের কেউ এ অভিযোগ করতে পারেন’ বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব।

কোন কোন প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেটা অবশ্য বিস্তারিত জানাননি এনএসসির সচিব, ‘বেশ কিছু প্রকল্পের বিষয়ে তারা তথ্য চেয়েছিল। আমরা প্রতিটি তথ্যই পূর্ণাঙ্গভাবে দিয়েছি। দুদককে সহযোগিতা করাও আমাদের দায়িত্ব।’

চলমান উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত হচ্ছে ১৩১টি স্টেডিয়াম। এতগুলো স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ প্রদান করা হয়েছে মাত্র ১৪টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। অভিযোগের মধ্যে এ প্রকল্প আছে কি না জানতে চাইলে অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন ‘ঠিক মনে পড়ছে না। অনেকগুলো প্রকল্প তো?’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। দেশের খেলাধুলার অন্যতম এ অভিভাবক সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সব সময়ই ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণের পরিবর্তে বেশি নজর থাকে স্থাপনা নির্মাণে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রধান হচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। তিনি এ পরিষদের চেয়ারম্যান। যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় হচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *