“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য দরখাস্ত আহ্বান”

0
index

বিনোদন ডেস্কঃ বাংলাদেশি সিনেমার সবচেয়ে বড় সম্মাননা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এর আবেদনপত্র আহ্বান করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে। চলচিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান কমিটির জুরি বোর্ডের সদস্য সচিব নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, সেগুলোই কেবল জমা দেয়া যাবে। পুরস্কার দেয়া হবে মোট ২৮টি বিভাগে। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তার সঙ্গে উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র জমাদানের শেষ তারিখ আগামী ৫ এপ্রিল।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, এবারও ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হবে। চলচ্চিত্র জমা দেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে –

শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। আজীবন সম্মাননা পাবেন কেবল জীবিত তারকারা। যৌথ প্রযোজনার ছবিও পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সে ছবিতে অভিনয় করা বা গান গাওয়া বিদেশি শিল্পীরা পুরস্কার পাবেন না।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অবশ্যই ছবিটিকে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেতে হবে এবং ২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রমাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।

সিনেমার কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। অন্যদিকে বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *