ডাক্তারদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার সর্বদা সচেষ্ট

0
1497795567_31

1497795567_31

ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হওয়া উচিত। ডাক্তারদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। বিএমডিসি-আইন-২০১০ সংশোধনী আকারে নতুনভাবে জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে- যা ডাক্তার-রোগী সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সরকারি দলের সংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার ও বেসরকারি মিলে ডাক্তার ও নার্সের অনুপাত হওয়া উচিত ১ঃ৩। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ১ঃ শূন্য দশমিক ৫৪ ভাগ মাত্র। প্রয়োজনীয় অনুপাত বজায় রাখতে বর্তমান সরকার নার্সের নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে আমাদের দেশে সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ডাক্তার (স্বাস্থ্য কর্মী) ও নার্সের অনুপাত ১ ঃ ১ দশমিক ২৯ ভাগ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে লাইসেন্সবিহীন ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গকারী ফার্মেসী এবং নকল, ভেজাল, মিসব্রান্ডেড, মেয়াদোত্তীর্ন, আন-রেজিস্টার্ড ও অবৈধ ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার ভেজাল, নকল ও মানহীন ঔষধ বিক্রি বন্ধে দেশের বিভাগীয় শহরসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল ফার্মেসী স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সরকার ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৭৫টি মডেল ফার্মেসী হিসাবে অনুমোদন প্রদান করেছে। মডেল ফার্মেসী থেকে জনগণ মানসম্মত ঔষধ কেনার পাশাপাশি ঔষধের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সারাদেশব্যাপী মডেল ফার্মেসী প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, দেশের সকল ব্যক্তি মালিকানাধীন/ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই আইন যুগোপযোগী করার কাজ বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মান সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে র‌্যাব, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে/স্বল্প মূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসাসহ সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়, এ কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সবসময়ই রোগীদের অত্যাধিক চাপ থাকে। যে কারণে রোগীর তুলনায় কম সংখ্যক ডাক্তার-নার্স-ওয়ার্ডবয়-কর্মচারীরা রোগীদের সামাল দিতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এরূপ পরিস্থিতির কারণে কখনও কখনও সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে রোগীর লোকজনের কিছুটা বাক-বিতন্ডা হয়ে থাকে। তথাপি সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে বিনা কারণে উল্লিখিত আচরণ প্রমাণিত হয়ে শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালার আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *