ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। মঙ্গলবার ভোরে এলেঙ্গা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত যানজট দেখা দিয়ে ছয় ঘন্টা পর স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। দিন গড়িয়ে ইফতার পরবর্তী সময়ে যানজটের পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ভূক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সরেজমিনে ও যাত্রীদের ভিন্ন ভিন্ন মতামতে জানা যায়, যমুনা পরবর্তী এলাকা (৬নং ব্রীজ) থেকে করটিয়া হাটবাইপাস এলাকা পর্যন্ত তীব্র যানজট। দু’দিনের টানা বর্ষণে ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। এছাড়া অধিকাংশ সময় লক্ষ্য করা যায় রাস্তায় পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা সত্বেও ওভারটেকিং করতে গিয়ে বাস-ট্রাক মূল সড়কের বাইরে গাড়ি এ্যালোপাথারি করে ফেলেছে। খানাখন্দে আটকে যাচ্ছে।
রাতুল হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, “আমি টাঙ্গাইল থেকে ইফতার শেষে এলেঙ্গার গাড়ীতে উঠেছি। ১০ কিলোমিটারের রাস্তা আসতে সময় লাগলো তিন ঘন্টা। তিনি আরো বলেন, ওভারটেকিং এর কারণে তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়েছে”।
ঢাকা থেকে পাবনাগামী একতা পরিবহনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুর দেড়টায় বাসে উঠেছি এখন রাত্রি বাজে ৯টা অথচ বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে পারলাম না। রাস্তায় কি কারণে এবং কোথায় যানজট বেশি পেয়েছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি আরো বলেন অধিকাংশ স্থানে যানজট প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার জন্য। আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় স্থানীয় ছোট ছোট বাস-লেগুনার চালকরা কাউকে পরোয়া করে না। তারা প্রতিনিয়তই বড় বড় বাসকে ওভারটেক করে চলে। এছাড়া পুরো রাস্তায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা খুবই নগণ্য। ওভারটেকিংয়ের কারণে মূলত যানজট বেশি তৈরি হয়। এছাড়া কোথাও কোনো গাড়ী বিকল হলে তখন কিছু যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রশাসন রাস্তায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুক, ওভারটেককারীদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুক তাহলে এ যানজটের সৃষ্টি হবে না।
এ বিষয়ে মধুপুর (এলেঙ্গা) হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সন্ধ্যার পরে টাঙ্গাইলের বিক্রমহাটী নামক স্থানে একটি ট্রাক বিকল হয় আর ওই বিকল ট্রাকটিকে অপর একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকল ট্রাকটিকে সরাতে র্যাক আসতে দেরি হওয়ায় যানজট কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে ধীরগতিতে হলেও গাড়ি চলমান রয়েছে।