তিথিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ৭৫ লাখ টাকা

0
Tithi20170521121158

Tithi20170521121158

দু’চোখ ভরা স্বপ্ন ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আর দশটা শিক্ষার্থীর মতো তিথিও ভর্তি হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় তার কাছে বাবা-মায়ের প্রত্যাশাও ছিল অনেক।

কিন্তু তিথির সব স্বপ্ন আর তাকে ঘিরে বাবা-মায়ের প্রত্যাশা দুইই হঠাৎ করে নিভে যেতে বসেছে। বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনযুদ্ধে হারতে বসেছে তিথি।

শিরিন আক্তার তিথি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী। বাবা সিরাজউদ্দৌলা পরিবার নিয়ে থাকেন গাজীপুরে। তিথির পরিবারে বাবা-মা ছাড়া রয়েছে এক ছোট ভাই।

সদা হাসিখুশি আর প্রাণোচ্ছল মায়াবী চেহারার তিথির শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল ও বিরলতম এক রোগ। হেমোফেগোসাইটিক লিম্ফো হিস্টোসাইটোসিস (এইচএলএইচ) নামে পরিচতি এই রোগ বিশ্বের অন্যতম বিরল রোগগুলোর একটি। সারাবিশ্বে প্রতি ১০ লাখে মাত্র একজন এতে আক্রান্ত হয়।

এখন পর্যন্ত বিরলতম এই রোগে শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশের একমাত্র রোগী তিথি। বর্তমানে কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছে সে।

রোগ প্রতিরোধের জন্য মানুষের শরীরে কিছু টি-সেল ও এনকে সেল থাকে। এগুলো যেকোনো জীবাণু ধ্বংস করে। কিন্তু কোনো কারণে ইমুনি সিস্টেম ওভারঅ্যাক্টিভ হয়ে গেলে এসব সেল শরীরের উপকারী রক্তের সেল ধ্বংস করতে শুরু করে। এতে ধীরে ধীরে লিভার, প্লীহা ও মস্তিস্কের সেল ধ্বংস হয়ে রোগী মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।

জাবির মেধাবী ছাত্রী তিথিও এমন রোগে আক্রান্ত। তবে তাকে এ রোগ থেকে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ৭৫ লাখ টাকা। কিন্তু তিথির বাবার পক্ষে এ বিপুল অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন তিথির পরিবার ও বন্ধুরা।

সেই সঙ্গে মেয়েকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বাবা সিরাজউদ্দৌলা।

Tithi-220170521121020

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জাবির আবাসিক হলে থেকে পড়াশোনা করা তিথি প্রায় দুই বছর যাবত অসুস্থ ছিল। কয়েকমাস আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা তার ক্যান্সার হতে পারে বলে জানান। পরে কলকাতায় গিয়ে জানতে পারে বিরল ‘এইচএলএইচ’ রোগে আক্রান্তের কথা। গত দুই মাস ধরে সেখানকার টাটা হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা।

তিথিকে সহায়তার ঠিকানা-
তিথিকে আর্থিক সহায়তা পাঠানো যাবে নিম্নের মোবাইল অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক হিসাবে-

বিকাশ নম্বর- ০১৭৪৯২৭৭৫০১, ০১৯৮৪৭৪০৮৮৫, ০১৭৭২৪৭৮১৮৫, ০১৭৬৬৯৪৩৯৫২, ০১৭৪০৯৩৮৭৭১, ০১৯৬৫৩০৫৮৩৩, ০১৬৮৮১৫৮৬৬৬; রকেট নম্বর- ০১৭৪৯২৭৭৫০১৭।

এছাড়াও সাহায্য পাঠানো যাবে, হিসাব নম্বর-১২৭১০১০০৭০৩৭০ (সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের), ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, হিসাব নম্বর- ০২০০০০৯৬২১১১৮ (ইসমত জাহান চন্দ্রা), অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

এছাড়া সহায়তাসহ যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ- ০১৮৪৫৯২৩৮০২ (রাব্বি), ০১৯১১২৩৪১৮২ (অনিন্দ্য), ০১৭৩৭৫৭৬৬২৪ (জামি), ০১৬৮০২৪৭৪২৯ (মাসুফ) ও ০১৯১৭০৭৮৬৪৮ (ইথার)।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *