নকল মেমরীকার্ডে বাজার সয়লাব

এস কে দেব : রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় টেবিলে শোভা পাচ্ছে নামিদামি কোম্পানির নামে তৈরি নকল মেমোরি কার্ড । স্যামসাং ও তোশিবার মত জনপ্রিয় ব্রান্ডের নাম দিয়ে অতি নিম্ন মানের মেমরি কার্ড বাজারজাত করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব নকল মেমোরি কার্ড স্বল্প দামে বিক্রি করে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্বল্প টাকায় শহরের বিভিন্ন ফুটপাত থেকে মেমোরি কার্ড কিনে প্রতারিত হচ্ছে গ্রাহকরা। মাত্র ২০০ টাকায় ১৬ জিবি ও ৩০০ টাকায় ৩২ জিবি মেমরী কার্ড বিক্রি করছে ঢাকার ফুটপাতে।
রাজধানীর গুলিস্থানের সুন্দরবন স্কয়ারের বিভিন্ন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। রাস্তায় যে মেমরীকার্ড বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় প্রকৃতপক্ষে সেই মেমরী কার্ড মাত্র ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে মেমরীকার্ডগুলি চায়না থেকে কপি করে আনা মেমরী কার্ড । যা কিনলে যে কেউ প্রতারিত হতে পারেন। ব্যবহার করা যাবে না ১ থেকে দুই মাস। প্রতিদিনই এসব মেমোরি কার্ড কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা। কার্ডের গায়ে ১৬জিবি লেখা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে এর তথ্য ধারণক্ষমতা কম দেখাচ্ছে। মেমোরি কার্ডে কোনো ওয়ারেন্টিও থাকছে না। স্যামসাং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সূত্র থেকে জানা যায় বাংলাদেশে স্যামসাং পরিবেশিত কোনো মেমোরি কার্ড নেই।
কিভাবে চিনবেন কোনটি ভালো?
বর্তমান বাজার যাচাই করে দেখা গিয়েছে একটি পণ্য মোটামুটি ভালো মানের, যদিও স্যামসাং লেখা নকল পণ্য। তবে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কথায় ওয়ারেন্টিকার্ড যুক্ত একটি মেমোরি কার্ড নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে থেকেন। যে পণ্যটিতে ওয়ারেন্টি দেয়া থাকে,সাথে কার্ডের নিচের দিকে একটি স্টিকার লাগানো থাকে। তাদের শর্ত অনুযায়ী স্টিকারটি যতক্ষণ কার্ডের সাথে অক্ষত অবস্থায় থাকবে ততক্ষণ তা ওয়ারেন্টির তালিকায় থাকবে। এছাড়াও কম্পিউটার থেকে ডাটা নিতে স্পিড ও সন্তুষ্টজনক।
মানহীন পণ্য
তবে বর্তমানে আরেকটি নকল পণ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে,ৎযার মান নেই বললেই চলে। যার সাথে নেই কোন ওয়ারেটি কার্ড এবং ডাটা স্পিড। এক ব্যবসায়ী জানান, মেমরি কার্ডটি লোড করতে ২ ঘন্টার মত সময় লেগে যায়, কিন্তু মোবাইলে স্থাপন করার পর কয়েকটি ডাটা ছাড়া বাকিগুলো শো করে না। হুবুহ প্রথম পণ্যের মত হওয়ায় ও কম টাকায় পাওয়ায় অনেক সাধারণ মানুষ না বুঝেই পণ্যটি কিনে নেন এবং প্রতারিত হন। তাই যেকোন মেমোরি কার্ড ক্রয় করার আগে স্পিড টেস্ট করে ক্রয় করা উচিত।