নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আমির রেজাউল গ্রেফতার

জেএমবি আমির
বিশেষ প্রতিবেদক :
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমিরকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরােরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বােম্ব ডিসপােজাল ইউনিট। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফ (৩৭)।
শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল হককে গ্রেফতার করা হয়।২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায়ও রেজাউল হক জড়িত ছিলেন। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ওই বছর গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হন জেএমবির এই ভারপ্রাপ্ত আমির।’
তিনি এও বলেন, ‘জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমিরের পদ ছাড়াও রেজাউল সংগঠনটির দাওয়াহ এবং বায়তুলমাল বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তিনি মূলত জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনের নির্দেশনায় বর্তমানে সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সালেহীন অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক।’
সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “রেজাউল বর্তমানে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সংগঠনটির একমাত্র শুরা সদস্যও তিনি। অনেক দিন পর জেএমবির শীর্ষ কোনো নেতা ধরা পড়ল। সর্বশেষ জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম। ২০১৮ সালের দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান তিনি। জেএমবির ভারপ্রাপ্ত এই আমিরের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা তদন্তাধীন। বিমানবন্দর ও জিআরপি থানার দুটি মামলার আসামিও তিনি। ওই দুই মামলা আদালতে বিচারাধীন।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া রেজাউল পুলিশকে জানান, দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। সারাদেশে জেএমবির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদার টাকায় পরিচালিত কথিত বায়তুল মাল তত্ত্বাবধান করেন রেজাউল। এরই মধ্যে জেএমবির কারাবন্দি সদস্য ও তাদের পরিবারকে প্রায় নিয়মিত অর্থসহায়তা করে আসছেন তিনি। বিভিন্ন সময় অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশের জেএমবি সদস্যদের মাঝে উগ্র মৌলবাদী বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিতেন রেজাউল।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, কাউন্টার টেরােরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাে. ইলিয়াছ শরীফের নির্দেশনায় ও স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ-পুলিশ কমিশনার মাে. আব্দুল মান্নানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাে. রহমত উল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।