নেপালের সাংবাদিকরা ওয়ালটন কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে মুগ্ধ

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেছেন নেপালের সাংবাদিক প্রতিনিধিদল। তারা বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনপ্রক্রিয়া দেখে মুগ্ধ। তাদের প্রত্যাশা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং উচ্চমানের কারণে নেপালের বাজারে খুব শক্ত অবস্থান তৈরি করবে ওয়ালটন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে নেপালে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য।
সোমবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেন নেপালের সাংবাদিকরা। নেপাল ফোরাম অব ফটো জার্নালিস্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তেজ বাহাদুর বাসনেট। এতে ছিলেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে কর্মরত ১০ জন সাংবাদিক। সোমবার সকালে ওয়ালটন কারখানায় পৌঁছালে তাদের শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর আলম সরকার, অপারেটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, ইউছুফ আলী, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর সোহেল রানা প্রমুখ।
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সভাপতি একেএম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কার্য-নির্বাহী সদস্য কাজী রওনক হোসেন, ওয়ালটনের মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর যান প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারে। পরে বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এইচএফসি গ্যাস মুক্ত ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ইউনিট, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে ওয়ালটন কম্প্রেসার কারখানাসহ অন্যান্য উৎপাদন ইউনিট। এ সময় তারা বাংলাদেশে ওয়ালটনের সুবিশাল ও অত্যাধুনিক কারখানা দেখে অভিভূত হন।
কারখানা পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের নেতা তেজ বাহাদুর বাসনেট বলেন, ‘নেপালে ওয়ালটন পণ্য দেখেছি। কিন্তু, এটা যে বাংলাদেশে তৈরি হয় তা জানতাম না। আজ এখানে এসে ওয়ালটন পণ্যের গুণগতমান, উৎপাদন প্রক্রিয়াসহ অনেক বিষয় সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করেছি এবং মুগ্ধ হয়েছি।’
দ্যা হিমালায়ন টাইমস এর ফটো সাংবাদিক রাম সার্ফ বলেন, ‘আমি নেপালে ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করছি। মানের দিক থেকে খুবই উন্নত। দামেও সাশ্রয়ী। তবে, ওয়ালটন পণ্য যে বাংলাদেশে এতো সুবিশাল ও সর্বাধুনিক কারখানায় তৈরি হয়, তা এখানে না আসলে জানা যেতনা । ফ্রিজ উৎপাদনকারী অনেক প্রতিষ্ঠানকেই দেখেছি চায়না থেকে কম্প্রেসার সংগ্রহ করতে। কিন্তু, এখানে এসে দেখলাম ওয়ালটন নিজস্ব কারখানাতেই বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তিতে কম্প্রেসার তৈরি করছে।’
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ.কে.এম মহসিন বলেন, ‘ওয়ালটন এখন দেশেই উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তৈরি করে স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করছে। ওয়ালটনকে নিয়ে শুধু আমিই নই; বাংলাদেশও গর্ব করে।’
কাজী রওনক হাসান বলেন, ‘আমি বিভিন্ন দেশের কারখানা দেখেছি। কোনো কারখানাতেই একটি পণ্যের সবগুলো যন্ত্রাংশ তৈরি হয়না। কিন্তু, ওয়ালটন নিজস্ব কারখানাতেই ফ্রিজের সমস্ত পার্টস, কম্প্রেসার ও প্রয়োজনীয় কেমিক্যালও তৈরি করছে। এটা আমার কল্পনারও বাইরে। এতোদিন ভেবেছিলাম, ওয়ালটন হয়ত এ্যাসেমব্লিং কারখানা স্থাপন করেছে। কিন্তু, এখানে এসে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক ও সম্পূর্ণ কম্পোজিট কারখানা দেখে আমার সে ধারণা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। অচিরেই বিশ্ব বাজারে ওয়ালটন একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ওয়ালটনের পণ্য যে এতো আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তৈরি হয় তা এখানে না আসলে বিশ্বাস হতো না। সত্যিই ওয়ালটন অসাধারন কাজ করছে। ওয়ালটন বাংলাদেশের গর্ব।