পহেলা বৈশাখে যারা পান্তা-ইলিশ খবেন, তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন , মৎস্য উপদেষ্টা

সোমবার,
২৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
০৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং,
সজল চৌধুরী :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন , পহেলা বৈশাখে যারা পান্তা-ইলিশ খবেন, একইসাথে তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন । এবার পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটা আমাদের কোনো সংস্কৃতির অংশ না। যারা ঢাকায় থাকেন তারা এটা চালু করেছেন। এটা আরোপিত সংস্কৃতি।
৭ এপ্রিল সোমবার, দুপরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মানুষ পহেলা বৈশাখে ইলিশ খায় কেমন করে? এসময় তো ইলিশ পাওয়ার কথা না। এ সময় ইলিশের জাটকা থাকে। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ না। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই। ঢাকায় এটা চালু হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা জাটকাই খাবেন। একই সঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে ইলিশ পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন। এই সময়টাতে আমরা জোরালোভাবে জাটকা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার কথা বলেছি।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, অন্য যে কোনো সময় ইলিশ খেলে আমাদের কোনো বিষয় না। কিন্তু ১৪ এপ্রিল পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়া হয়, সেটা যেন না খাওয়া হয় । কারণ এ সময় ইলিশ নয়, জাটকা খাওয়া হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশে রুপান্তর করার আহ্বান জানান ।
তিনি এও বলেন, পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র সংক্রান্তি বাঙ্গালি সংস্কৃতির জন্য এ দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সেখানে কোনো আমিষ খাওয়া হয় না। সেদিন ১৪ রকমের শাক খাওয়া হয়, বিশেষ করে তেতো শাক যেমন গিমা শাক। আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন এবং পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খান। ইলিশ বাদে অন্য মাছ খাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।