পুরো মাঠ জুড়ে ছিলো যুবলীগ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বা ‘বিশ্বের স্মৃতি’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আজ শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে যুবলীগের ব্যাপক উপস্থিতি। পুরো মাঠ যেন পরিনত হয়েছিল যুবলীগের জন সমুদ্রে। যুবনেতাদের চোখে মুখে ছিলো আবেগ আর আনন্দর জোয়ার। টুপি আর টিশার্টে আছরে পরেছিল সবুজের ঢেউ। নাগরিক সমাবেশের কর্মসুচি ঘোষনার পর থেকেই যুবলীগ নিয়েছিল ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি।
গতকাল ১৭নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯.০০টায় বঙ্গবন্ধু এনিভিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, জতিরপিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারী হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায়, ১৮ নভেম্বর নাগরিক সমাবেশে যোগদান করার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন ৭ই মার্চের ভাষনে আসলে বুকে জমা কথাগুলোই বলেছিলেন মুজিব। এ ক্ষেত্রে তাঁকে নিজের ওপর ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রিয়তম পত্নী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। আজ ৪৭ বছর পর তা হয়ে উঠে সমগ্র দেশ ও জাতির গৌরবের সম্পদ। এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো বিশ্ব ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করল। সীমানা পেরিয়ে ৭ মার্চের ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রেরণা। ৭ মার্চের ভাষণ-সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা। ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্ব সম্পদ। দুনিয়াব্যাপী গবেষণা হবে। তরুণ সমাজের জ্ঞান অন্বেষণে মনে স্থান পাবে। পৃথিবীর মানুষের তথ্য ভিত্তিক ঐতিহ্যের মর্যাদা লাভ করল। ৭ মার্চের ভাষণ-আন্দোলিত করার ভাষণ। অনেক নেতাই দিতে পারেন কিন্তু ভাষণের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের নজির বিরল। ৭ মার্চের ভাষণ অলিখিত, সম্পূর্ণ এক্সটেম্পোর একটি ভাষণ। পৃথিবীর প্রত্যাশিত ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। মাত্র ১৯ মিনিটের ১০৯৫ শব্দের একটি ভাষণ রচনা করল নতুন ইতিহাস। একটি মাত্র ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করল। অমর কবিতা হয়ে ছড়িয়ে পড়ল সারা বিশে^। পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হল। জাতির এই আনন্দ ক্ষণে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরণ করছি সেই ভাষণের স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ৭ মার্চকে মিলিটারি জিয়া ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে-স্পর্শকাত শিশু পার্ক বানাল। পরবর্তীতে-শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সোজরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণের পদক্ষেপ নেন। সে দিন এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে আমন্ত্রিত অতিথী হয়ে অংশ নেন-ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা ও সোলেমান ডেমিরেল(তুরস্ক)। ২০০১ এ বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কাজ বন্ধ করে দেন। আবার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তম একখানা কেতাব রচনা করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নাকি ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেছিলেন জয় পাকিস্তান বলে। সবাই শুনলেন বক্তৃতা শেষ করেছিলেন ‘ জয় বংলা’ বলেই। তিনি শুনলেন জয় পাকিস্তান। কতবড় মতলববাজ! তিনি জিয়াউর রহমানের পথ ধরেছেন সত্য, তবে জিয়াউর রহমানের মতো কৌশলী হতে পারেননি। বোকার মতো বিচারপতি সিনহার মতো বিকৃত করে ধরা খেলেন। বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষমাহীন অপরাধঃ যে অতীত নিপীড়ন, নির্যাতন, শোষণ, হত্যা, খুন, ঘরবাড়ি পোড়ানো, সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রতি বর্বরোচিত আচরণ, সরকারী সম্পদ বিনষ্ট, ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা এবং জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটানোর কাজটি পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করেছেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ‘এথনিক ক্রিন জিং’ চালু করার অপরাধ থেকে মুক্ত হওয়া সহজ সাধ্য নয়। এদেশের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার এসব অপকর্ম বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অপকর্মেরই ধারাবাহিকতা। প্রশ্ন হচ্ছে ‘ক্ষমাহীন’ অপরাধের প্রতিকারে একটাই সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে হারানো। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাঃ বিশ্বে চতুর্থ কর্মঠ সরকার প্রধান। বিশ্বে সেরা ৫ জন কর্মঠ এবং পরিশ্রমী সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর সর্বশেষ গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যে সব রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান কঠোর পরিশ্রম করেন এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর দেশে দৃশ্যমান উন্নতি করেছেন তাঁদের কাজ পর্যালোচনা করে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে পরিশ্রমী রাষ্ট্র প্রধান হলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ২য় রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে-ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে। ৩য় পরিশ্রমী-তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বিশ্বের চতুর্থ কর্মঠ সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান হলেন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আর ৫ম পরিশ্রমী সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান হলেন-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বরেন্দ্র অঞ্চলেও হচ্ছে বিনা চাষে ধানঃ তারি নাম শেখ হাসিনা। ‘ষোল চাষে মুলা, তার অর্ধেক তুলা, তার অর্ধেক ধান, বিনা চাষে পান’।- এটি একটি খনার বচন। ভালো ফসল পেতে কোন ফসলের জামিতে কতবার চাষ দিতে হয়, মানে লাঙ্গল চালাতে হয়, সেটিই প্রবচনটির মর্মার্থ। সে অনুযায়ী শুধু পান উৎপাদনেই কোন চাষ দিতে হয় না। কিন্তু বহুকাল পরে এসে জানা গেল-চাষ বা লাঙ্গল না দিলেও ধান উৎপাদন করা সম্ভব।- তারি নাম শেখ হাসিনা।