প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ না হলে, জাতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে

প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা জড়িত, প্রশাসন তা জানে। কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না। এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি (জেপি) এর মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম। তিনি আজ সকাল-১১.০০ টায় তোপখানা রোডস্থ ‘বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলণায়তন’ এ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ বাম ফ্রন্টের উদ্যোগে “প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতিকারের প্রস্তাব শীর্ষক”আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ না হলে, জাতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। এজন্য দুর্নীতিকে দায়ী করেন তিনি। দেশের সব সেক্টরে দুর্নীতি রোধ করতে হবে, নকল বন্ধ করতে হবে ও কেন্দ্রের সংখ্যা কমাতে হবে, শুধু উপজেলায় কেন্দ্র থাকবে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা জড়িত, তাদেরকে সরকার ও সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রোধ করার ভূমিক পাপালন করতে হবে। পাশাপাশি তিনি সরকারের প্রতি ক্রমাগতভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ডাঃ এম.এ সামাদ বলেন- “আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা অনেকটাই সম্ভব হবে, তা করতে পারলেই শিক্ষাঙ্গণ দুর্নীতিমুক্ত হবে। আগে দুর্নীতি গোপনে হতো, এখন প্রকাশ্যে হয়। একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে, তার শিক্ষাকে ধ্বংস করতে হয়। দেশ ও শিক্ষাবিরোধী চক্র হীনস্বার্থ লোভে এ অপকর্মটি করে চলছে। এখানে প্রশাসনএ দুর্বলতাকে কোনভাবেই এড়াতে পারবে না। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার উন্নয়নের বিকাশ ঘটাতে হবে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এর সভাপতি এম.এ জলিল, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মোঃ গণি মিয়া বাবুল, জয় বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ্ নাফিয়ী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, আজকের সূর্যোদয়ের প্রধান সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক, বৈশাখী সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ভি.পি সালাউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী সোসাইটির সভাপতি আলমগীর শেখসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।