বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফের ওষুধ উদ্ধার, আটক এক

0
de6cd908b131e8c2ccd9a12a8def26ab-59171aa5eb0ff

de6cd908b131e8c2ccd9a12a8def26ab-59171aa5eb0ff

বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ওষুধ চুরি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এবার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে চাহিদার তুলনায় বাড়তি ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ মে) দুপুর থেকে বিকাল অবধি চালানো অভিযানে হাসপাতালের চার তলার ওই ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স বিলকিস বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরিশাল কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুক্রবার (১২ মে) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বাসভবন সংলগ্ন পুকুর থেকে ৫০ হাজার টাকারও বেশি অর্থমূল্যের ওষুধ জব্দ ও দুই জন আটক করা হয়। ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তে নামে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে হাসপাতাল প্রশাসনের সহায়তায় শনিবার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে তল্লাশি চালিয়ে রোগীর প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।’ অভিযানে হাসপাতালের পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ নার্সিং নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওষুধ উদ্ধারে শেবাচিমে অভিযানঅভিযান শেষে হাসপাতালের পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়মের তুলনায় বেশি ওষুধ রাখা অপরাধ। ওই নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।’

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘তার মজুদে যে পরিমাণ ওষুধ পাওয়া গেছে, তা স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। যদি গড়ে দেড়-দুইশ রোগী ওই ওয়ার্ডের চারটি ইউনিটে ভর্তি থাকে, তবে তা দিয়ে তিন থেকে চার মাস এই ওয়ার্ডের রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব। এখানে উদ্ধার করা ওষুধের পরিমাণ এতটাই বেশি।’ তবে এসময় উদ্ধার করা ওষুধের মূল্যমানের পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি। আগামীকাল রবিবার (১৪ মে) এ তথ্য জানানো হবে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।

7311736521fcb26b41a74a62526a5a63-59171ac79a315

হাসপাতালের নার্সিং তত্ত্বাবধায় মমতাজ বেগম বলেন, ‘বিলকিস বেগম যোগদানের পরই তার বিরুদ্ধে কিছু মৌখিক অভিযোগ শুনেছি। তবে লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। এখন যেহেতু হাসপাতাল প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন, তাই তাদের হাতেই বিষয়টি রয়েছে। কোনও ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তা করা হবে।’

এর আগে শুক্রবার ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় হাসপাতালের স্টাফ শেফালি বেগম ও তার ছেলে মামনুকে আটকের পর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *