বিএনপির কোন ধরণের উস্কানিতে সায় না দেওয়ার জন্য আহ্বান সেতুমন্ত্রীর

এস কে দেব: ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ২ ঘটিকায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে “বিএনপি’র সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির প্রতিবাদে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, লন্ডন থেকে ভিডিওবার্তায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরে রাজনীতি করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি বলেছেন, সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থেকে তার দেওয়া কোনো ডাকে সাড়া দেবে না জনগণ। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ভাবে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা পরিস্কার ভাবে বলতে চাই আমরা কারো সাথে পাল্টাপাল্টিতে যাবো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের মাঠ গরম করার দরকার নাই। পরিস্থিতি বুঝে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। ঐ দিনে আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচি না রাখার জন্য দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাদের কোন কর্মসূচি ৮ ফেব্রুয়ারি রাখতে বলেন নি। আমাদের কোন কর্মসূচি নেই ওই দিন, দেব না। তবে রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যদি পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে তা হলে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। দেশের জনগনের জানমাল নিরাপত্তার জন্য পুলিশ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগনের জানমাল নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কখন কি করতে হবে সেটা তারা দেখবে। ৮ তারিখের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির কোন ধরণের উস্কানিতে সায় না দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জনগনের উপর শেখ হাসিনার আস্থা আছে। খালেদা জিয়ার লক্ষ যেনতেন ভাবে ক্ষমতা দখল করা। বিএনপির উস্কানির ফাঁদে পা দিবেন না। আমরা শান্তি চাই। বিএনপি উন্মাদ হলে আমরা কেন হবো। মাথা গরম করে কিছু করা যাবে না। যা যা প্রয়োজন মাথা ঠান্ডা রেখে করতে হবে।
৫ তারিখে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত হত : যুবলীগ চেয়ারম্যান
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- ৫ তারিখে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত হত। বেয়াদব যা করে তা না করার নাম আদব। বিএনপি যা করে আওয়ামী লীগ তা করবে না। যুবলীগ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতৃবৃন্দকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ৮ তারিখকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের কোথাও সাধারণ মানুষের যান-মালের নিরাপত্তা বিঘ্ন সৃষ্টি করা হলে তা যুবলীগ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আপনাদের প্রতিহত করবে।বিএনপি জামায়াত জোটের তালেবানী পায়তারা মুক্ত করেছিলেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। যদি তিনি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী না হতেন, তাহলে ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি বাংলাদেশকে তালেবানের রাষ্ট্রে পরিণত করত। তাই দেশের শান্তি বজায় রাখতে ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে তৃতীয় বারের মতো রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রনায়কের দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি আক্রমন করলে ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে : সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বিএনপি নেতাকর্মীদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, ঢাকা শহরের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আমি বলতে চাই, ৮ তারিখকে কেন্দ্র করে আক্রমন করলে ঢাকাবাসী তাহা সহ্য করবে না। আপনাদের (বিএনপি) সাবধান করে দিচ্ছি আমরা যেমন ভাবে ঢাকা দক্ষিনের প্রত্যেকটি আওয়ামী লীগের নেতার বাসা চিনি, তেমনি ভাবে কোন বাসায় বিএনপি জামায়েতের কোন নেতাকর্মীরা থাকেন তাও জানি। আক্রমন করবেন না। আক্রমন করলে ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদ এর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, যুগ্ম-সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলী সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা সহ-সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, সারোয়ার হোসেন মনা, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, হারুন অর রশিদ, মোরসালিন আহমেদ, খোরশেদ আলম মাসুদ, যুগ্ম-সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আরমান হক বাবু, এমদাদুল হক এমদাদ, খন্দকার আরিফ-উজ-জামান প্রমুখ।