বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা হাসপাতালে ভর্তি

0
Un66546titled-1

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভোলা থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামালের মা মালেকা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য। এ কথা জানানো হয় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

মালেকা খাতুন এর বয়স ৯৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও রক্তশূন্যতায় ভুগছেন।

আজ বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপের একটি ডফিন হেলিকপ্টার মালেকা খাতুনকে নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বেলা সোয়া দুইটার দিকে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে নামে। সেখান থেকে পরে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মো. সিরাজউদ্দীন বুধবার দুপুরে জানান, মালেকা খাতুনের কিডনি, শ্বাসকষ্ট ও বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা আছে। তিনি মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মোস্তফা কামালের ভাইপো মো. সেলিম বলেন, তাঁর দাদির খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। হাত–পা ফুলে গেছে।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম হাবিবুর রহমান। ১৯৬৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন মোস্তফা কামাল। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দরুইলে পাকিস্তানি বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা যেন নিরাপদে আখাউড়ার দিকে যেতে পারেন, সে জন্য সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকে হতাহত হয়। একপর্যায়ে মোস্তফার অবস্থানের ওপর মেশিনগান ও মর্টারের গোলা বর্ষণ করতে থাকে তারা। মোস্তফারও এলএমজির গুলি শেষ হয়ে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন। পাকিস্তানি সৈনিকেরা ট্রেঞ্চে এসে তাঁকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

হাবিবুর রহমান ও মালেকা বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়। মোস্তফা কামাল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *