বুয়েটে জুনিয়রদের কাছে আতঙ্কের নাম ছিলো অমিত সাহা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে অমিত সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এই অমিত সাহা আট মাস আগে বুয়েটে তার এক জুনিয়রের হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল। সালাম না দেওয়ায় অভিযোগে অমিত সাহা পিটিয়ে ওই শিক্ষার্থীর হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
হাত ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে বুয়েটের নির্যাতিত ওই ছাত্র বলেন,‘আট মাস আগে অমিত সাহা আমার হাত ভেঙ্গে দেয়। কারণ উনাকে দেখলে নাকি আমি কখনো সালাম দেয়নি। নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে আমি। দুই মাস তীব্র কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছিলাম। ২১ দিন পর আমার অপারেশন হয় এবং প্লেট লাগানো হয়। যার ৮০ শতাংশ ব্যয় আমাকে বহন করতে হয়।’
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন,‘আমাকে বলতে বলা হয়েছিল, সিড়ি থেকে পড়ে হাত ভেঙ্গে গেছে এটা বলতে। জুনিয়র ছিলাম ভয়ে কাউকে বলিনি। আর বললেও কিছু হতো না। এমন কি আমার পরিবারকেও আমি বলিনি। কারণ বললে উনারা আমাকে বুয়েটে পড়তে দিবে না। কিন্তু একটি কমেন্ট ভাইরাল হওয়ার কারণে ঘটনাটি আমার পরিবারের কানে গেছে। আর এখন আমাকে প্রেশার দিচ্ছে চলে যেতে, বুয়েটে
পড়া লাগবে না। পরিবার খুব প্রেশার দিচ্ছে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে অনেক কষ্ট করে, অনেক সংগ্রাম করে এখানে এসেছি। এখন স্বপ্নটা অধরা রেখে যথাসম্ভব চলে যেতে হবে। সাথে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে।
অমিত সাহা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। সে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক। আবরার হত্যাকান্ডের পর থেকেই পলাতক ছিল অমিত পরে আজ
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় রাজধানীর শাহজাহান- পুর কালিমন্দির থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, বুয়েটের শিক্ষার্থী নির্যাতনের কথা জানাতে নতুন একটি পেজ খুলেছেন। সেই পেজ থেকে অমিত
সাহার নির্যাতনের এই কাহিনীটি নেওয়া হয়েছে। অমিত সাহা অনেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেছেন বলে প্রবাসবিডিনিউজে’র কাছে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, আবরার হত্যায় অমিত সাহার জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় গ্রেপ্তার অমিত সাহার পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা ছিল।