মানুষের যৌবনকাল হচ্ছে নিজেকে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ সময় : যুবলীগ চেয়ারম্যান

0
Omor Faruk

Omor Faruk

দিনবদল ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৭ মার্চ ঢাকা সোহ্ওয়ার্দী মাঠের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে আজ ১লা মার্চ ঢাকা গুলিস্থান ইম্পেরিয়াল হোটেল হল রুমে সকাল ১০.০০টায় ঢাকা বিভাগের ২১টি জেলা ও ৪টি মহানগর সমন্বয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- যুবক তিনিই যিনি সৃষ্টিশীল তিনিই যুবক। যুবকের কোন বয়সের সীমারেখা নেই। যুবশ্রেণী সমাজের মূল চালিকাশক্তি। দেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠি যুবক শ্রেণী। মানুষের যৌবনকাল হচ্ছে নিজেকে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ সময়। মানুষ তার জীবনের যে চারটি স্তর অতিক্রম করে কৈশোর, শৈশব, যৌবন ও বৃদ্ধকাল। তার মধ্যে এই যৌবনকালই হলো শ্রেষ্ঠ কাল, শ্রেষ্ঠ সম্পদ, সৃষ্টির কাল হল যৌবনকাল। যৌবনের অর্ধেক খাও, আর অর্ধেক সঞ্চয় কর। যৌবনের সঞ্চয় বৃদ্ধকালের অবলম্বন।

Horun Ur Rashid

যুবলীগ বিশ্বাস করে আগামী ২০১৮ এর নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক মহা পরীক্ষার। তাই বাংলাদেশের জন্য ২০১৮ এর নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তীত্বের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পথে হাটবে না আবার উল্টো পথে যাত্রা করবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন-এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ধারা অব্যাহত থাকবে। নাকি একটি জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে-সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সেতু হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরা, যশোর জেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। উন্নয়নের গতি লাভ করবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে পায়রা বন্দর হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন- পদ্মাসেতু আর পায়রা বন্দর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পিত প্রজেক্ট। পায়রা বন্দরের স্থান নির্ধারনের জন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিজেই নদী পথে ঘুরেছেন। ২০১৮ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে কিনা- সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিদ্যুৎ চাই নাকি খাম্বা চাই। সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা চাই কিনা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে-সব শিক্ষর্থীর জন্য ১ জানুয়ারি পাঠ্য বই পৌঁছাবে কিনা। বিনামুল্যে পাঠ্য বই চাই কিনা। তিনি আরও বলেন- মনে রাখতে হবে-জাতি হিসেবে আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা পেয়েছি। আবার আমাদের দুভাগ্য হলো-আমরা এই নেতাকে আবিস্কার করতে পারিনি। তাঁকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারিনি। হাার্ডের কেনেডি স্কুলের খ্যাতিমান অধ্যাপক আর্থার অ্যাপলবাম পলিটিক্যাল লিডারশীপ এবং ডেমোক্রেটিক ভ্যালুস বিষয়ে এডামস প্রফেসর এর লেকচারগুলোতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন। তার নেতৃত্বে একদল পিএইচডি শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং শরনার্থী সমস্যা নিয়ে গবেষণা করছেন। সেই গবেষনায় উঠে এসেছে রহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাহস।

তিনি আরও বলেন- জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ এখন ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। আব্রাহাম লিংকন এবং গেটিস বার্গের বক্তব্য অসাধারণ বক্তব্য। ‘বাই দ্য পিপল অব দ্য পিপল ফর দ্য পিপল’-এই বক্তব্যের মূল বিষয় হলো কথামালার ঝংকার। অর্থাৎ যা হয়নি, হবেও না। এর বাস্তবিক কোন প্রয়োগ নেই। অর্থাৎ ৭ মার্চের ভাষণে- কেবল কথার উদ্দীপনা ছিল না। ছিল এর যথার্থ প্রয়োগ, নির্দেশনা এবং বাস্তবায়ন। ঐ ভাষণে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন এবং ঘোষণা বাস্তবায়নের পথ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মুক্তি সংগ্রামের জন্য গেরিলা যুদ্ধের কৌশলও বলেছিলেন। এটাই জাতির পিতার অনন্যতা। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু যুবলীগ গঠন করেছিলেন। এটা বোঝার জন্য, জাতির পিতার দূরদর্শিতা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

তিনি যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-আগামী ৭ই মার্চ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মহাসমাবেশকে সুশৃঙ্খল ও নান্দনিক করতে যুবলীগের সবুজ ক্যাপ, সবুজ গেঞ্জি, পতাকা হাতে সকাল ১১টার মধ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে হবে এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সমাবেশস্থল ত্যাগ না করা পর্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে বসে থাকতে হবে। কোন ব্যানার আনা যাবে না মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন।

Shamrat

ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এর সভাপতিত্বে ও ইসমাইল হোসেন, রেজাউল করিম রেজা ও মিজানুর রহমান এর যৌথ পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, সিরাজুল ইসলাম এমপি, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন খান, আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম-সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম শাহিন, সুব্রত পাল, নাসরিন জাহান শেফালী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাত হায়দার লিটন, শ্যামল কুমার রায়, রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি মোরসালিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ম-সম্পাদক তাসভিরুল হক অনু, রাজবাড়ী জেলা আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, নরসিংদী জেলা সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ঘোষামী, টাংগাইল জেলা সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চল, জামালপুর জেলা সভাপতি রাজ সাহা রাজু, ময়মনসিংহ মহানগর আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান, শেরপুর জেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক এড. আজহারুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আবদুল কাদের, মানিকগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক তানজিদুল্লাহ প্রধান লিল্টু, শেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নেত্রকোনা জেলা আহ্বায়ক মাসুদ খান জনি, গাজীপুর মহানগর যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, শান্ত বাবু, ঢাকা জেলা সভাপতি সফিউল আজম বারকু, গাজীপুর জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম আজাদ, নরসিংদী জেলা সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, ময়মনসিংহ মহানগর যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল পাঠান, টাংগাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মনিক, জামালপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক ফালান আহমেদ, নেত্রকোনা জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক জনি খান, কিশোরগঞ্জ জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. মীর সোহেল, গোপালগঞ্জ জেলা সভাপতি এমবি সাইফ, মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি সুদেব সাহা, গাজীপুর মহানগর আহ্বায়ক রাসেল সরকার, শরীয়তপুর জেলা সভাপতি এস.এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নুহুন বাদল প্রমুখ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *