যুবলীগ চেয়ারম্যন ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায়- কৃষকের পাশে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ৷

আঞ্চলিক প্রতিনধিঃ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহবানে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন নিখিল, সর্বস্তরের যুবলীগ নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর নির্দেশনা দেন৷সে মোতাবেক যুবলীগ নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থান থেকে সহায়হীন মানুষের পাশে অতন্ত্র প্রহরীর মত দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে৷
বৈশাখ মাস কৃষকের ধান কাটার মৌসুম ৷এবছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারনে ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে সারাদেশে। আর তাই সুনামগঞ্জের কৃষকদের পাশে দাঁড়াল জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। বোরো ধান কেটে কৃষকের গোলায় তুলে দিচ্ছে তারা।
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলের নেতৃত্বে যুবলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ভেড়াজালী গ্রামে হাওরের কৃষকের বোরো ধান কেটে দেন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল বলেন, সারাদেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিটি বিপর্যস্থ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সারাদিয়ে সেচ্ছায় ঘরবন্দি অবস্থায় আছেন৷ সরকারও তাদের নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। তিনি বলেন,করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য, সুনামগঞ্জের হাওরে কোন শ্রমিক আসতে পারেনাই৷ আর তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন নিখিলের নির্দেশনায় সুনামগঞ্জ জেলাযুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ধান কাটায় সহযোগিতা করছে৷ তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যেন সঠিক সময়ে হাওরের পাকা ধানগুলো কেটে তাদের গোলায় তুলতে পারে যুবলীগ সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সুনামগঞ্জের কৃষকরা সাংবাদিকদের বলেন, “এইবারকার ধান কাটা লইলা খুবই চিন্তাত আছিলাম,শেখ হাসিনার লুকেরা আমগো চিন্তা দুর করিয়া দিলো”৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড. মো. আবুল হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জেবুল মিয়া, যুবলীগ নেতা মো.রমজান মিয়া প্রমুখ।