যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পীরগঞ্জে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর বাবা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
২০১৬ সালে উপজেলার নারায়ণপুর গোয়ালপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখার ওই শিক্ষার্থী সবুজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেন্যুকেন্দ্রে নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ সময় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে পীরগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসা সরকার ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষা কর্মকর্তা মুসা। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক। এরপর মুসার আগের স্ত্রী বাড়িতে ফিরে এলে দেখা দেয় বিপত্তি। অবস্থা বেগতিক দেখে মুসা প্রেমিকাকে পাঠিয়ে দেন বোনের বাড়িতে। সেখানে কয়েক দিন অবস্থান করে মুসার প্রেমিকা। এরই মধ্যে পারিবারিক চাপে মুসা তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে আপত্তি জানায়। বিষয়টি গড়ায় থানা পুলিশ পর্যন্ত। অবশেষে গত রোববার হরিপুর থানা পুলিশ মুসার বোনের বাড়ি থেকে তার প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ আটক করে তার ভগ্নিপতিকে। এ নিয়ে চলে দেনদরবার। সুরাহা না হওয়ায় পরে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মুসাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, মামলা হয়েছে। মূল আসামি মুসা পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।