রোহিঙ্গা ইস্যুতে এডিবির সহায়তা অবশ্যই চাওয়া হবে : অর্থমন্ত্রী

0
f minis

f minis

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাজেটে তেমন প্রভাব পড়বে না। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট যা চাচ্ছে, আমরা তা দিচ্ছি। তবে চাপ বেশি হবে না। মূল বিষয় খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করা, সেটার জন্য যা সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে, তা ভালো। রিলিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেখছে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মুহিত বলেন, আমি ভেবেছিলাম আমার বাজেট ভেস্তে যাবে। সেটা হবে না। সেখানে আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের কিছু চাহিদার বিষয়ে তারা জানাচ্ছে। তবে সামান্য চাচ্ছে। আমি সচিবকে বলেছি- আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টকে কী খরচ করতে হবে, এর সম্ভ্যাব্য ফিগার নিয়ে একটি পরিকল্পনা বানাতে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ট্রান্সপোর্ট এদের কী ধরনের সহায়তা দরকার। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি নয়। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে এসে গেছে। তাদের কাছে আমরা কোনো পরিমাণ বলিনি।

এডিবির সাহায্য চাওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এডিবির সহায়তা অবশ্যই চাওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের কাছে চেয়েছি। তাদের যেহেতু আলাদা খাত (উইন্ডোজ) আছে, তাই চেয়েছি। আর এরা (এডিবি) দেবে আমাদের জন্য যে নরমাল কোটা আছে, তা থেকে। এজন্য প্রকল্প বানাতে হবে। এখন আমরা সবার কাছ থেকে যে সাহায্য পাচ্ছি, সেটা হলো রিলিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, খাওয়ানোর খরচ পাচ্ছি। তারা (বিশ্বব্যাং-এডিবি) ন্যাচারালি ফিউচার। যদি রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদী হয় সেক্ষেত্রে আমরা ধীর গতিতে এগোচ্ছি।

এর আগে এডিবির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালক হুম কিম, কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রাকাশের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।

ওই বৈঠক শেষে এডিবির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালক হুম কিম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলে দেশটিতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে এডিবি। কিন্তু এডিবি যেহেতু ব্যাংক তাই এডিবি সরাসরি অনুদান দিতে পারে না। তবে একটি পন্থা বের করে রোহিঙ্গাদের অনুদান দেয়া হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *