সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ না করার আহবান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

0
download (2)

স্টাফ রিপোর্ট:

রাজধানীর গুলশানে বেসরকারি সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি বন্ধ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান, এখানে অনলাইনে ও অন্যান্য উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কিছুদিন পরই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। হাসপাতালে দেশি-বিদেশি শিক্ষানবিশ ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ যথারীতি চালু আছে। এ অবস্থায় এই প্রতিষ্ঠান নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু না থাকলে শত শত মেডিকেল শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন, রোগীদের চিকিৎসা এবং কর্মচারীদের জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব অনুমতি নিয়ে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৭ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।

চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে কখনো হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। হাসপাতালে বর্তমানে ৮৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। করোনাকালীন এই হাসপাতালে ২২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ১৯২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন।

এতে বলা হয়, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে করোনা ও করোনার উপসর্গের রোগীর চিকিৎসার সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়মিত চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি কোভিড ইউনিট চালু করে। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার কারণে করোনা–সেবায় আলাদা চিকিৎসাকর্মী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম ও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে। করোনাকালীন হাসপাতাল সেবার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে সব স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা টেস্ট করার জন্য প্রাভা হেলথকেয়ার বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সঙ্গে চুক্তি করে সেখান থেকে পরীক্ষা করে আনা হয়েছে। সরকার হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্টি সাপেক্ষ হাসপাতালকে আরটি-পিসিআর টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছিল, যা সম্প্রতি স্থগিত করা হয়। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩০ জুন অতিক্রান্ত হলেও তা নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ফি জমাসহ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রক্রিয়াধীন। সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, করোনার কারণে হাসপাতালের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা, করোনা প্রতিরোধের ব্যবস্থাসহ চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা খরচ এবং কোভিড-১৯–এর কারণে ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের সেবা প্রদানকারী কর্মীদের বেতন বহুল বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো রোগীর ক্ষেত্রে খরচ বেশি মনে হতে পারে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *