হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে কে পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন?

0
awamleg

awamleg

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এখনও অনেক দূর। জল্পনা আর আলোচনা কে পাবেন মনোনয়ন, কে পাবেন না- তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তারপরও হবিগঞ্জ জেলায় মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনই নেমে পড়েছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন সভা, গণসংযোগ ও প্রচারনা করছেন।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। নেতাকর্মীদেরও নির্বাচনের প্রস্তুতি স্বরূপ প্রচারণা চালানোর জন্য পোষ্টার, ফেস্টুন, বেনার, গেইট টাঙ্গিয়ে দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ থেকে, নির্বাচনী প্রস্তুতিসহ প্রচারণাও শুরু করেছেন অনেকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ চলছে।

দলের প্রভাবশালী মহলে জোর লবিং-তদবিরে নেমেছেন এসব সম্ভাব্য প্রার্থী। বিশেষ করে নতুন ও তরুণ প্রজন্মের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন সংশিষ্ট নেতাদের বাসা ও অফিসে আসা-যাওয়া শুরু করেছেন। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার চারটি আসন বরাবরই ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাচ্ছেন অন্তত সাতজন। আওয়ামী লীগের হবিগঞ্জ-৪ আসনের এম,পি সাহেব, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উভয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিদ্বয় ও সাধারন সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রীপূত্রসহ আরও তিনজন।

ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতারা নানান কৌশলে মাঠে নেমেছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে কাজও করছেন। প্রার্থীদের প্রত্যাশা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আমরা সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। তাই এবার আমাদের এলাকার জনগণের জন্য কিছু করতে চাই।

‘বর্তমান তরুন প্রজন্মের নেতাকর্মীদের উৎসাহে আমরা এবার আমাদের এলাকার জন্য উন্নয়ন মূলক কাজ করতে চাই। তাই কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি হতে হবে’। আমাদের এলাকা মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনটি বাংলাদের সব আসন থেকে অবহেলিত একটি আসন। তরুনরা এবার আওয়ামী লীগের এমপি পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন চাইতে উৎসাহ দিচ্ছেন বেশী।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো’। এরমধ্যে অনেকে সম্বিলিত নির্বাচনী বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করছেন। তাহারা স্থানীয় মুরুব্বিদের সাথে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। তাহারা যে আগামীতে প্রার্থী হচ্ছেন এটাই এখন নিশ্চিত। এদিকে বর্তমান এম,পি সাহেবও মাঠে রয়েছেন। সাধারণ মানুষ এবং দলীয় নেতাকর্মীর কাছে জনপ্রিয়তা কাহারো চেয়ে কেউ কম নয়।

সাধারণ মানুষ ও দলের তৃনমূলের কর্মীরা মনে করছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় ধরে রাখতে হলে একটা পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন । নতুবা সংগঠনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

কিন্তু বর্তমান তরুন প্রজন্মের নেতাকর্মী ও দলের ত্যাগী নেতারা হবিগঞ্জ-৪ আসনের জন্য সংসদে নতুন এমপি দেখতে চাচ্ছেন । তারা আরও বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের হবিগঞ্জ-৪ আসনের তরুন বা প্রবীণ দলের ত্যাগি, পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় একজন এমপি চাই। কারন আমরা অবহেলিত, তাই আমরা আর অবহেলিত থাকতে চাই না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি,বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বাস্তবতার আলোকে যাচাই -বাচাই করে ২০১৮ইং সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দিবেন, এটাই আমরা আপনার নিকট কামনা করি। জয়বাংলা ।

বাবুল হোসেন খান,
সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,
শাহজাহানপুর ইউনিয়ন শাখা,
মাধবপুর,হবিগঞ্জ,সিলেট।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *